বিশেষ প্রতিনিধি
সাভারের আমবাগান এলাকায় স্কুলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তির ব্যানার টানাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে মারধরের শিকার হয় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও তার ছেলে। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী স্কুলের মালিকের ছোট ভাই। তদন্ত করতে আসা পুলিশ অফিসার ব্যবস্থা না নিয়ে ভুক্তভোগীকে মিটমাট করে দেয়ার অফার দিয়ে চলে যান। এবং ঘটনার চারদিন পার হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
রোববার সকালে আহত নাজির হোসেন খানের ছোট ভাই নজিবর রহমান খান সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয় গত ১২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আম বাগান এলাকার শাহিনুর রহমানের বাসার সামনে সরকারি রাস্তায় খুঁটিতে স্কুলের কর্মচারীরা ভর্তি বিজ্ঞাপনের ব্যানার টানাতে গেলে অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বাধা প্রদান ও গালিগালাজ করে। বিষয়টি স্কুলের মালিক নাজির হোসেন জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসলে তাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা।
এ সময় স্কুলের কর্মচারী ও মালিকের ছেলেকেও লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত করে তারা। আহতদের কান্না ও চিৎকারের আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ সময় তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি সহ নানা হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর ছোট ভাই।
ঘটনার দিন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করলেও কোন মামলা অথবা ব্যবস্থা নেইনি পুলিশ, বরং ঘটনার দিন তদন্ত করতে এসে উল্ট পুলিশ অফিসার ভুক্তভোগীদের মিলমিশ করিয়ে দেয়া অফার দেয়।
অভিযোগকারী নজিবর রহমান খান বলেন, ঘটনার দিন আমার ভাইকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার ভাতিজা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন এই অবস্থায় আমাকে পুলিশ বলছে তাদের সাথে মিটমাট করতে, এটা কি করে সম্ভব। প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পরে আমার ভাইয়ের জ্ঞান ফিরেছে এবং অযৌক্তিক কারণে এবং মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের উপর হামলা করেছে। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা না নিয়ে এবং কোন মামলা গ্রহন না করে পুলিশের মিটমাট করে দেয়ার অফার কে আমি তীব্র নিন্দা জানাই। প্রশাসনের কাছে আমি এর বিচার চাই।
আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার দে বলেন, ঘটনাস্থলে আমি যাইনি তবে তাৎক্ষণিকভাবে টহলরত কোন পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে থাকতে পারে। ভুক্তভোগীদের আমার অফিসে আসতে বলেন তাদের কথা শুনে এবং যে অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছে তার কাছ থেকেও বিস্তারিত শুনে যদি মামলা নেয়ার মত হয় তাহলে মামলা দেয়া হবে।