আসাদুজ্জামান খাইরুল- বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
সাভার উপজেলার একাংশ ও আশুলিয়া থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৯ আসন। এই আসনটিতে এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে নৌকা প্রতীক। এর কারণ হিসেবে সাধারণ জনগণ বলছেন, নৌকা প্রতীকের প্রত্যাশীরা জনসম্পৃক্ততায় এগিয়ে ও পছন্দের। তাই দলমত নির্বিশেষে নৌকা এগিয়ে আছে এই আসনটিতে। এছাড়াও প্রার্থীরা নৌকার বিশ্বস্ত কর্মী এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার মত আস্থাভাজন।
সে হিসেবে ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, নৌকার প্রচার-প্রচারণা ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন। এমনটাই বলছেন, সাভার আশুলিয়ার আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাধারণ জনতা। ইতিমধ্যেই প্রার্থীতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রভাবশালী এই নেতা । যা গণমাধ্যমে প্রচার সহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বর্তমানে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দীর্ঘদিন ধরে, সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পাড়া মহল্লায় তার উঠান বৈঠকের জনসমাগম পরিণত হচ্ছে জনসমাবেশে । এমন দৃশ্যোই ঘোষণা করছে ঢাকা-১৯ আসনে নৌকা ও এই প্রার্থীর জনপ্রিয়তার । এছাড়াও তাঁর ইউনিয়নে রাস্তাঘাট তৈরি, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দীরের উন্নয়ন সর্বজন স্বীকৃত।
দলীয় তৃণমূল নেতাকর্মী ও মূল দল সহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নেও এগিয়ে আছেন তিনি। এতে করে ইতিমধ্যেই দলের নেতা কর্মীদের কাছে প্রিয় নেতা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন এই নেতা।
আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আয়নাল হক মাতবর বলেন, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করে বলবো, আমাদের ঢাকা- ১৯ আসনে সাইফুল ভাইয়ের বিকল্প নেই। তার মতো একজন জনপ্রিয় নেতাকে আমাদের ১৯ আসনে খুব প্রয়োজন। তিনি মনোনয়ন পেলে ঢাকা- ১৯ আসনে নৌকা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আমরা তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করি।
আশুলিয়া থানা আওয়ামীলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ ইউনুস আলী খাঁন বলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশায় যে লোকটি পাশে থাকেন, তাকে ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার মাঝি করলে নৌকা তার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাবে। এরকম নেতার বিকল্প নেই সাভার আশুলিয়ার জনগণের জন্য। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে, যেন এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখেন।
আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলী খান বলেন, আমরা দেখেছি সাইফুল ইসলাম তার ইউনিয়নের অলিগলির রাস্তাঘাট আরসিসি ঢালাই করে দিয়েছেন, যা আগামী ৩০বছরেও এই রাস্তার সংস্কার করা লাগবে না। এছাড়াও করোনা কালীন সময়ে যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা উল্লেখযোগ্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে এলাকাবাসীর কাছে। তার মতো লোক এমপি হলে আশা করি জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুল আলম বলেন, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম একজন শ্রমিক বান্ধব নেতা। তার ইউনিয়নটি গার্মেন্টস শিল্প অধ্যাসিত ইউনিয়ন। সেক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কোন সমস্যা হলে, তা দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে তিনি সমাধান করেছেন । করোনা মহামারী সহ বিভিন্ন দুর্যোগে শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য তার দারস্ত হলে কখনো ফিরিয়ে দেননি। এরকম নেতা ঢাকা-১৯ আসনে সংসদ সদস্য হলে শ্রমিক অসন্তোষ সহ, সব ধরনের সমস্যা সমাধান হবে।
আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির দেওয়ান বলেন, আশুলিয়ার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৫লাখ ভোট, এই অঞ্চলে আমরা যদি বিএনপির প্রার্থীকে হারাতে চাই , তাহলে সেরকম একজন প্রার্থী দিতে হবে। এবং ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ লাগবে। অন্যথায় কষ্ট হবে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি সাইফুল চেয়ারম্যান অনেকটা এগিয়ে আছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম বলেন, 'সাভার পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে ভোট সংখ্যা ২ লক্ষ ৯২ হাজার, আশুলিয়া থানার ৫ টি ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার, তার মধ্যে আমার দায়িত্বে থাকা ধামসোনা ইউনিয়নে ভোট ১ লক্ষ ৯৬ হাজারের কিছু বেশি। আমি মনে করি আমাকে যদি এই আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় বিএনপির যেকোনো প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমি নির্বাচনে জয়ী হতে পারব ইনশাআল্লাহ'।
'আমি নির্বাচিত হওয়ার পর, যে ধরনের টেকসই উন্নয়ন আমার ইউনিয়নে করেছি এই ধরনের টেকসই উন্নয়ন ঢাকা-১৯ সংসদীয় আসনে পুরো এলাকাতেই করতে পারবো। কারণ, উন্নয়ন কিভাবে করতে হয়, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় সেটা আমি ভালো করে জানি। উন্নয়ন আমি সারা সংসদীয় এলাকাতেই করতে পারবো এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এবং তা জনগণ জানে। এজন্য জনগণ আমাকে সাভারের এমপি হিসেবে দেখতে চায়'