সাভারের জয়নাবাড়ী এলাকার বহুতল ভবনের পাশে, কলা বাগান থেকে হাত-পা বাধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার ঘটনায়, লাশটি সনাক্ত ও ঘটনার মুল হত্যাকারীকে আটক করেছে র্যাব-৪। র্যাব বলছে, রাত্রি যাপন শেষে গলা চেপে হত্যা করে, লাশ ঘুমের উদ্দেশ্যে ছয় তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলা হয়েছিল ওই নারীকে। নিহত নারীর হাত পা ও মুখমন্ডল থেতলানো থাকায় তাৎক্ষণিক তার পরিচয় বের করা সম্ভব হয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
শুক্রবার ১৬ জুন বিকেলে র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান, একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে ক্লোলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৫ জুন র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে লাকী খাতুন (২১) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যাকান্ডে মূলহোতা শরীয়তপুর জেলার মোঃ রিপন হোসেন (২৮), কে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গত ০২ জুন সকালে সাভারের জয়নাবাড়ী এলাকার বহুতল ভবনের পাশে কলা গাছের সাথে একটি অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৪ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং অজ্ঞাতনামা লাশটি সনাক্ত ও ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। মৃত নারীর মুখ মন্ডল বিকৃত ও হাত-পাতা থেতলানো থাকায় তৎক্ষণিকভাবে লাশটি সনাক্ত করা যায়নি। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকার লাকী বেগম নামে এক নারী নিখোঁজ রয়েছে, যার সূত্র ধরে জানা যায়, রিপন নামে এক ব্যক্তির সাথে ঐ নারীর বন্ধুত্ব ছিল।তাকে গ্রেফতার করলে জানা যায় রিপন পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার সে সাভারের জয়নাবাড়ী এলাকার ছয় তলা ভবনে ভাড়া থাকতো। ০৯ মাস আগে রিপনের স্ত্রী মহিলা শ্রমিক হিসেবে দুবাইয়ে গমন করলে ভিকটিম লাকী খাতুনের সাথে তারা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
গত ৩১ মে রাতে রিপন তার বন্ধুর ফ্লাটে ভুক্তভোগী লাকিকে নিয়ে রাত্রী যাপন করে। এ সময় রিপন মাদকাসক্ত হওয়ায় তদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। পরের দিন সকালে রিপন নেশাগ্রস্থ হয়ে লাকী খাতুনকে গলা চেপে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশ গুম করাতে ভবনের ছাদ থেকে লাশটি কলাবাগানে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। সর্বশেষ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে বজ্রাপুর গ্রামে নিকট আত্মীয় বাসায় আত্মগোপন করে রিপন।
এই কোম্পানি কমান্ডার আরো বলেন,অদূর ভবিষ্যতেও এরুপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।