বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব-৪ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ,০৭ দিনের এক নবজাতককে উদ্ধার সহ ২ অপহরণকারীকে আটক করেছে। অপহরণকারীরা নবজাতকের পিতা মাতার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলো বলে জানায় র্যাব।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব-৪ একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নবজাতক উদ্ধার ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ রাতে মিলি আক্তার দম্পতির ০৭ দিনের নবজাতককে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা নিজ বাসা থেকে রুবেল ও তার স্ত্রী অপহরণ করে। পরবর্তীতে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ঐ অপহরণকারীরা।
নবজাতকের পিতা-মাতার সাথে পূর্বের স্বল্প পরিচয় ও একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে, রুবেল ও তার স্ত্রীর নিকট ০৭ দিনের নবজাতক ছেলেকে রেখে ঔষধ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় মিলি আক্তার। এই সুযোগে রুবেল ও তার স্ত্রী নবজাতক শিশুটিকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন শিশুটির পিতা মাতা।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাজার কমিটির কাছ থেকে রুবেল এর বাসার ঠিকানা নিয়ে বাসায় গেলে তার বাসা তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গত০১ মার্চ অপহরণকারী রুবেল অপরিচিত নাম্বার দিয়ে ভুক্তভোগী মিলি আক্তারের কাছে ফোন করে ০১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ভুক্তভোগী মিলি আক্তার র্যাব-৪ এ অভিযোগ করলে, একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৪। অভিযানে অপহরণকারী দম্পতি মোঃ রুবেল শেখ (৩৫), পিতাঃ মৃত আব্দুল মজিদ শেখ এবং তানিয়া আফরোজ (২৩), স্বামী-রুবেল কে দিঘলীয়া, খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত ০৭ দিনের নবজাতক শিশুটিকে।
গ্রেফতারকৃত তানিয়া আফরোজ একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। গত ০৩ বছর পূর্বে গ্রেফতারকৃত রুবেল তানিয়ার পরিবারের অমতে তানিয়াকে বিবাহ করে ধামরাই ঢুলিভিটা এলাকায় বসবাস করতে থাকে।
র্যাব-৪ এর দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বর্ণিত অপহরণের ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বিকার করেছে।
এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় , নবজাতক শিশুটি মায়ের অনুপস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে, মুক্তিপণ না পেলে শিশুটিকে গোপনে রূপসা নদীতে ফেলে দিয়ে আত্মগোপন করবে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।