প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৫:০৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ১০, ২০২২, ৪:২১ অপরাহ্ণ
বাড়ি ভাংচুর ও মারধর: ওয়ার্ড মেম্বার সহ আটক ৮
বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার ( ঢাকা)
সাভারে মাঠে বসাকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের ঝগড়ায় একপক্ষের সাথে মিলে, অপরপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে । এঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৮জনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়ছে। বিষয়টা আশুলিয়া থানা পুলিশ এখানে নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকা থেকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সফিউল আলম সোহাগকে আটক করে পুলিশ। আটক সফিউল আলম সোহাগ পাথালিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য।
ভুক্তভোগী কিশোর তাওহীদ সরদার বলেন, বিকেলে আমার বন্ধু শাওনকে নিয়ে নিরিবিলি মুক্তধারা মাঠে বসেছিলাম। এসময় ২০-২৫জন ছেলে ও সাথে কয়েকজন মেয়েসহ তারা সেখানে আসে। পরে সেখানে তারাও বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। এসময় তাদের একজন তাদের ডিস্টার্ব হচ্ছে জানিয়ে আমাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তখন আমার বন্ধু শাওন এর প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মাথায় ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এসময় আমার বন্ধু শাওন দ্রুত আমার বড় ভাইকে ফোন করে ডেকে আনলে তারা পালিয়ে যায়। কিন্তু ফাহিম নামে যে ছেলেটা আমাকে আঘাত করেছিল তাকে ধরে আমার বাসায় নিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২০০-২৫০ লোকজন নিয়ে সোহাগ মেম্বার আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় আমাকে মারধর করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে মেম্বার আমার মা বকুল বেগম, বোন তামান্না ও ভাই তুহিনকে মারধর করে। এমনকি তারা বাড়ির জানালার গ্লাসসহ আসবাবপত্রে ভাঙচুর ও টাকা লুট করে চলে যায়।
কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী তাওহিদের বোন তাবাস্সুম তামান্না অভিযোগ করে বলেন, 'মেম্বার আইসা পুরো বাড়িতে তাণ্ডব চালাইছে। আমার ভাইয়ের বাইকটা ভাঙছে। পরে মেম্বার লাঠি দিয়া আমার হাতে মারছে। আমারে গলা ধাক্কা দিয়া ফালায় দিলে আমি কোমড়ে ব্যথা পাইছি। তখন তার পোলাপান আমারে এলোপাতাড়ি লাথ্থাইছে। আমার আম্মুরেও মারছে সোহাগ মেম্বার। আমার খালাতো ভাইয়ের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করেছে।
তাওহিদের মা মামলার বাদী বকুল বেগম বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় রাতে আমার বাড়িতে মেম্বারের লোকজন হামলা করছে। ২০-২৫টা হোন্ডা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। স্বর্ণের চেইন, ৯০ হাজার টাকাসহ নানা কিছু লুটপাট করছে। আমরা থানায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সেখানেও মেম্বার দলবল নিয়ে গিয়ে আমাদের হেনস্তা করে। পরে পুলিশ মেম্বার সোহাগসহ ৮ জনকে আটক করেছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তুচ্ছ ঘটনায় একটি বাড়িতে হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী বকুল বেগম থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মেম্বার সোহাগসহ গ্রেপ্তার ৮জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
www.banglapaper24.com