প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ১০:০১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১৬, ২০২২, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক কর্মকর্তার পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান
আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আনসার আলী খানের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী খান এর মেয়ে ফাতিমা বেগমকে লোন না দিয়ে অপমান করে ব্যাংক থেকে বের করে দিয়েছে, স্বেচ্ছাচারিতা ও লোন পেতে ঘুষ দাবীর অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মুক্তিযোদ্ধার একাংশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্তরে আমজনতা সহ ২৫ থেকে ৩০ জনের উপস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। আধঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ-আলম নান্নু, মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল আজিজ, হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে মো. জালাল আহম্মদ, মো. নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
অপরদিকে বেলা ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার আরেকঅংশ বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক রাজাপুর উপজেলা শাখা চত্তরে ব্যাংক কর্মকর্তার পক্ষে অবস্থান নেয় এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দপ্তরে ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ সহ আসল ঘটনার লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তারা প্রতিবেদনে জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ-আলম নান্নু সহ কয়েকজন আছেন যারা ব্যাংকে মুক্তিযোদ্ধাদের লোন করিয়ে দিয়ে তাদের কাছ থেকে লাখে এক হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। যা ব্যাংক কর্মকর্তার একদমই পছন্দ নয়। তাই এ বিষয়ে তিনি তাদের বারবার সর্তক করেন। ঐ দালাল চক্র ক্ষিপ্ত হয়ে সাত-আট জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে হয়রানী করতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি যাদেরকে ইস্যু করে ঘটনাটি সাজিয়েছে তাদের কাউকে মানববন্ধনে দেখা যায়নি। এ সময় উপস্থিত থেকে লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. নুরুল ইসলাম খলিফা, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল জলিল সিকদার, সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার মো. আলতাফ হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. নুরুজ্জামান ফরাজী, মো. জামাল মৃধা সহ ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা।
লোন দিতে আসা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফাতিমা বেগমের ছেলে সুজন জানায়, আমার মা ফাতিমা বেগমের সাথে ব্যাংক কর্মকর্তা কোন খারাপ আচরন করেনি বা কোন টাকা পয়সা দাবী করেনি। লোন পেতে যেই কাগজ দরকার ছিলো সেই কাগজের কমতি থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা সেগুলো সঠিক ভাবে নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয়। তখন আমার মা একটু সময় চেয়ে ব্যাংক থেকে চলে যায়। বর্তমানে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী লোনটি পাস হয়েছে। একটি কুচক্রিমহল আমার মাকে ভুল বুঝিয়ে, ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি আমার মাকে ইস্যু করে তারা মানববন্ধন করেছে, আমার মাসহ আমি ঐ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলাম না।
বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক রাজাপুর উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আসছার আলী খান বলেন, তিনি এই শাখায় যোগদান করার পরে কিছু দালালচক্র লোন পাস করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে লোনগৃহিতাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিত। তিনি এই দালাল চক্রদের প্রতিহত করতে যাদের ফাইল তাদের নিয়ে আসতে বলেন। এতে সব দাললচক্র একত্র হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
www.banglapaper24.com