বিশেষ প্রতিনিধি-সাভার (ঢাকা)
আশুলিয়ায় ধার নেয়া টাকা চাওয়ায় পাওনাদর ও তার স্ত্রীর উপর মধ্যরাতে হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
শনিবার (১১ জুন) বিকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর দিয়াখালি এলাকার বাসিন্দা পাওনাদার চাঁন মিয়া ও নিপা আক্তার দম্পতির উপর হওয়া হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাড়ি পরিদর্শন করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আওয়াল।
এরআগে,শুক্রবার (১০ জুন) দিবাগত রাত ২ টার দিকে অভিযুক্ত ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লা, নাইমসহ আরও ২০-২৫ জন এ হামলা করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চাঁন মিয়া।
ভুক্তভোগী চাঁন মিয়ার স্ত্রী নিপা আক্তার বলেন, সোহেল মোল্লা আশুলিয়া থানা যুবলীগের নেতা। আমার স্বামীর সাথে বন্ধুত্বের সুবাদে সোহেলের সাথে আমার পরিচয়। তিন বছর আগে বালুর ব্যবসা পরিচালনার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা ধার নেয় যুবলীগ নেতা সোহেল। তিন-চার মাস পরেই সেই টাকা পরিশোধের ডেট ছিলো। কিন্তু সোহেল টাকা না দিয়ে উল্টো নানা তালবাহানা করে আসছে। পরে ছয়টি চেক দেয় সোহেল মোল্লা৷ সেই চেকগুলো নিয়ে ব্যাংকে গেলে একাউন্টে কোনো টাকায় পাওয়া যায়নি। পরে পাওনা টাকা চাওয়ায় অনেকবার আমার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চেক নিয়ে মামলা করার পর রাত ২ টার দিকে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। সোহেল সহ ২০-২৫ জন পিস্তল, চাপাতি ও লোহার পাইপ নিয়ে এসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় আমার স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাইম আমাকে ও তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে আমার ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে আসবাবপত্র সহ আমার স্বামীর মোটরসাইকেলটিও ভেঙ্গে ফেলে। আমার গায়ের কাপড়চোপর ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। জিআই পাইপ দিয়ে মারধর করা হয় আমাকে।
বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লার সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আওয়াল বলেন, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীদের থানায় আসতে বলেছি। তারা থানায় আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়াউল হক বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি মাত্র। ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।