বিশেষ প্রতিনিধি:
আশুলিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
২৪ এপ্রিল রোববার দুপুর সাড়ে ১টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় উৎসব বোনাস ও ঈদের ছুটির দাবিতে স্কাইলাইন গ্রুপ গার্মেন্টস শ্রমিকরা এই বিক্ষোভ করেন।
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলাকালীন সময় পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ইটপাটকেল ও পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে অন্তত ১০ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের দাবি শ্রমিকদের নিক্ষেপকৃত ইট-পাটকেলে ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ এবং সংঘর্ষে শ্রমিকরা ৮-১০টি পরিবহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে পুলিশের কঠিন পদক্ষেপে শ্রমিকরা মহাসড়কের অবরোধ থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনও কারখানাটির সামনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার শ্রমিকরা বলেন, ঈদের ছুটি মাত্র ৬দিন দেয়া হয়েছে। রমজান মাসে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারখানা কতৃপক্ষ আমাদের দিয়ে কাজ করাইছে। এর আগে আমাদের বেসিক বেতনের অর্ধেক বোনাস দিয়েছিল। যেটা কোন ফ্যাক্টরিতে করে না। তাই ১০ দিন ছুটি দিতে হবে। আর ফুল বেসিক অনুযায়ী আমাদের বোনাস দিতে হবে। আমরা ন্যায্য বোনাস ও ছুটির দাবিতে আজ আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশল নিক্ষেপ করেছে এতে অন্তত ১০জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, ঈদের ছুটি ও বোনাসের দাবিতে আজ স্কাইলাইন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা সড়ক অবরোধ করে বেশ কিছু পরিবহনে ভাঙচুর চালিয়েছে। এসময় তাদের ছোরা ইটপাটকেলে আমাদের ৪-৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা শ্রমিকদের পরে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন আছে।