খাইরুল শিকদার - বিশেষ প্রতিনিধি:
( কোভিড-১৯ ) করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনী ও সংগঠন। করোনা থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র বর্তমান উপায় হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও বেশি বেশি হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা ইত্যাদি সর্তকতা অবলম্বন করা। আর এই সতর্কতা বাড়াতে ও জনসচেতনতায় বাংলাদেশ সরকার লকডাউন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যা ইতিমধ্যেই সারাদেশব্যাপী চালু রয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলার গ্রাম ও পাড়া মহল্লায় অতি উৎসাহি কিছু মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তা বেরিগেট ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে লকডাউন এর ব্যবস্থা করছেন। যা সাধারণ জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। কারণ এরা কেউই প্রশিক্ষিত নয় অথবা চোখে পড়ার মতো সচেতনতামূলক কোন কর্মকাণ্ড ও তাদের নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এধরনের স্বেচ্ছা সেবকরা নিজেরাই সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে মানছেনা নিয়ম-কানুন থাকছেনা সতর্ক। তারা শুধু এতোটুকুই বুঝতে চায় স্বাভাবিক চলাফেরা কে বন্ধ করলে হয়তোবা এই মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যার ফলে জরুরী চলাফেরাকে তারা বাধাগ্রস্ত করে ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে । ইতিমধ্যেই সাভারের গেন্ডা এলাকায় এক স্বেচ্ছাসেবক এর ধাওয়ায় রিকশা উল্টে এক গার্মেন্টস কর্মীর অকাল মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এছাড়াও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জরুরী কাজে যেমন চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য অথবা বাসার খাবার ক্রয়ের জন্য কেউ যদি বের হয় তাহলে নাজেহাল হতে হচ্ছে এসকল অপ্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে। এব্যাপারে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায় এ ধরনের ব্যবস্থা যদি প্রশিক্ষিত কোন সংগঠন অথবা বাহিনীর দ্বারা করা হতো তাহলে তারা সচেতনতাকে আরো বৃদ্ধি করত। কিন্তু যখন উঠতি বয়সের ছেলেদের হাতে লাঠি দিয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়, তখন তাদের থেকে বেশির ভাগই অপমানিত ও আতঙ্কিত হতে হয়। তাই সাধারণ জনগণের দাবী সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সবধরনের লকডাউন অথবা চলাচলে বাধা আরোপ করা হোক। অথবা প্রতিটি এলাকা থেকে তালিকাভুক্ত করে, যুবকদের স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম ও মহল্লায় দায়িত্ব দেয়া হোক। এতে সাধারন জনগন আতঙ্কিত হবে না এবং সচেতনতাও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন এ সকল অপ্রশিক্ষিত ও স্বঘোষিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে অসৎ চিন্তাধারার কেউ কেউ সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতিসাধনও করতে পারে। তাই সাধারণ জনগণ দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ষয়টি যেন আমলে নেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রশাসন, যাতে করে হয়রানিমূলক আতঙ্ক থেকে মুক্তি পায় সাধারণ জনগণ।