বিশেষ প্রতিনিধি-
সাভারে একটি পোশাক শ্রমিক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়ার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি ও অভিযোগ করলে ওই তরুণীকে, ছাত্র লীগ নেতার পক্ষে থাকা আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা, এলাকা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে বলে জানা যায়।
ধর্ষণের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এশিয়ান ইউনিভার্সিটির আশুলিয়া ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। মোঃ সাকিব ভূঁইয়া আশুলিয়া থানার ঘোষবাগ গ্রামের শাহ আলম ভূইয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) অভিযোগের ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলে সমাধান না পেয়ে তদন্তের দ্বয়িত্বে থাকা পুলিশকে ফোন করলে তরুণীকে নানা ভাবে অপমান করা হয় বলে জানায় ওই তরুণী।
এরআগে, সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানায় ছাত্রলীগ নেতা সাকিব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী তরুণী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী ওই এলাকায় ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। অভিযুক্ত সাকিব ভূইয়ার সাথে তাদের একটি ফার্নিচারের দোকানে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ১ জানুয়ারি তরুণীর বাসায় এসে সাকিব তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। রাজি না হলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায় তরুণী বিয়ের কথা বললে কালক্ষেপন করে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় সাকিব। এবং তরুণী যেনো এলাকা ছেড়ে চলে যায় সে জন্য বিভিন্নভাবে ভয়-ভিতি দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী তরুণী বলেন, আমি গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) আশুলিয়া থানায় এ নিয়ে একটি অভিযোগ করি। যেনো আমি আমার সঠিক বিচার পাই। কিন্তু আমাকে স্থানীয় নেতা মুজিবর রহমানসহ আরও অনেকেই হুমকি দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। শুধু তাই নয় যে পুলিশের কাছ আমার অভিযোগ তদন্তের দায়ভার পরেছে তাকে ফোন দিয়েছিলাম সে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেছে ও বলেছে সে এই অভিযোগ নিয়ে কাজ করতে পারবে না। আমি এখন কোথায় যাবো কি করবো। ইতিমধ্যে আমার পেটে যে বাবু ছিলো তাকে ওষুধ খাইয়ে নষ্ট করেছে সাকিব। এখন আমি অনেক অসুস্থ আমার অনেক রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান শাহেদ বলেন, আমি শুনেছি। আমি তো তার বাসায় যায়নি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। রাতে যাবো। অনেক ধর্ষনের অভিযোগ আছে কয়টা করবো। মেয়েটাকে বলেন কোর্টে গিয়ে মামলা করতে, ওয়ারেন্ট আসলে পরে ছেলেটাকে ধরবো।
বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, মেয়েটাকে এখনই থানায় পাঠিয়ে দিন। তার মামলা এখনি এন্ট্রি করা হবে।