বিশেষ প্রতিনিধি
আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচটের শেরালী মার্কেট এলাকায় এক নারী শ্রমিকের পথ রোধ করে, ত্রান দেয়ার কথা বলে মোবাইল টাকা সহ সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে নিয়ে যায় একটি চক্র। এ সময় ঐ নারী সম্মোহিত হয়ে নিজ হাতেই সব কিছু দিয়ে দেয় ওই দুষ্কৃতিকারীদের।
৬ (মার্চ) বিকেলে কাঠগড়া থেকে রশিদ মার্কেট বাসায় ফিরার পথে, শেরালী মার্কেট এলাকায় আসলে, টাইলস শ্রমিক রোকেয়া বেগমের (৪২) সাথে এ ঘটনা ঘটে।
রোকেয়া বেগমে (৪২) বলে কাজ শেষে রাস্তায় আসার সময় আমারে তিনজন লোক আটকাইয়া কয় আপনার পরিচিত গরিব লোক আছেনা আপা ? আমরা ত্রাণ দেই ত্রাণ নিয়া যান, নিলে আপনার লাইগা ভালো হইবো। এই কথা কইয়া পাশদিয়া ঘুরলো আর কইলো সাইডে আহেন। পরে আমার ব্যাগ কানের দুল মোবাইল সবকিছু দিতে কইলো। আমি নিজের হাতে কানের দুল, ব্যাগ, মোবাইল তাগো হাতে দিয়া দিছি। পরে আমারে কইলো আইতাছি আপনি এই হানে থাহেন কইয়া চইলা গেছে। আমি এইটা কি করলাম আমি কিছু বুঝি নাই। আইজকার খোরাকির টাহা সহ সব লইয়া গেছে আমি এহন কি করি বাবা।
থানায় অভিযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমিতো থানার বিষয়ে বুঝিনা। তাই থানায় জাইনাই।
এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রংপুর জেলার রোকিয়া বেগম (৪২)। সে রশিদ মার্কেটের রঞ্জু মাস্টারের বাসায় ছোট মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। দিনমজুর হিসেবে টাইলসের পুডিং লাগানোর কাজ করেন বলে জানায় তিনি।
রোকিয়া বেগম এর কথা শুনে পাশে থাকা রশিদ মার্কেটের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন এ ধরনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিছুদিন আগে একই এলাকায় আমতলা মার্কেটের কিরন ফরাজী নামের এক ফার্মেসি ও বিকাশ ব্যবসায়ীর সাথে এধরনের ঘটনা দুইবার ঘটেছে। ওই ব্যবসায়ীকে সম্মোহিত করে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। যা ওই ব্যবসায়ী নিজ হাতেই তুলে দেয় ওই দুষ্কৃতী কারীদের হাতে।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বলছেন এ ধরনের ঘটনা আশুলিয়ায় দিন দিন বেড়ে চলেছে। এতে দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এই চক্রের হাতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃশেষ হয়ে পড়ছে। এ ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন হওয়া ও প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টির বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সচেতন মহল।