বিশেষ প্রতিনিধি
আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর, সংবাদ সম্মেলনে কষ্ট ও দুঃখ প্রকাশ করে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। এসময় তাকে মনের কষ্টে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
শহীদুল্লাহ মুন্সীর দীর্ঘ প্রায় পঁচিশ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির পথচলায়, আট বছর ধরে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এই ত্যাগী নেতা কান্নাজড়িত কণ্ঠে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি শুধু বিসর্জন দিয়ে গেলাম কোনো কিছু অর্জন করতে পারিনি। এছাড়াও আট বছর ধরে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আমি কর্মীদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। আশুলিয়া থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে এ কথাও শুনতে হয়েছে যে সবাই রাজনীতি করে অনেক কিছু করছে আমি কিছু করতে পারিনি তাদের জন্য। আমি আমার নেতাকর্মীদের সব সময় বলেছি যেহেতু আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ করি আমাদের স্বেচ্ছায় নিজেদের পকেটের টাকা দিয়েই রাজনীতি করতে হবে। এবং আমি করেছিও তাই।
কিন্তু বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে চেয়ার দেওয়া হয় না, নাম ঘোষণা করে না। স্বেচ্ছাসেবক লীগ করায় বরাবরই আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমি কর্মীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারি না। তাই সব ব্যর্থতার দায় নিয়ে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। এ সময় ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, এটা পাগলামি ছাড়া কিছু নয়। তিনি সরে দাঁড়াতে চাইলে পদত্যাগপত্র নিয়ে সরাসরি আমার কাছে আসবেন। তিনি যদি অসুস্থ থাকেন, কেউ যদি হেয় করে তাহলে লিখিত আকারে জানাতে হবে। কিন্তু এভাবে সংবাদ সম্মেলন করার মানে কি?
পদত্যাগপত্র পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমার কাছে সাংগঠনিকভাবে কোনো পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়নি। ফেসবুক পোস্টে তো আর পদত্যাগ হয় না।