বিশেষ প্রতিনিধি:
সাভারের আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের পাশের রাস্তায় ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা না পেয়ে দোকান ভ্যান ভাংচুর করে দোকানিদের হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৯-১২-২০২১) ভুক্তভোগী দোকানিদের পক্ষে জুয়েল নামের এক চায়ের দোকানদার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় সাবেক যুবলীগ নেতা মোঃ জামান মন্ডলের ছেলে মোঃ রাতুল মন্ডল ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা লাঠিসোটা দিয়ে এই ভাংচুর করে বলে জানায় ভুক্তভোগী দোকানিরা।
ভুক্তভোগী জুয়েল বলেন, রুটি রুজির জন্য আমারা দীর্ঘদিন ধরে সরকার মার্কেটের রাস্তার মাথায় নারী ও শিশু হাসপাতালের পাশে ভ্যান গাড়ীতে সামান্য চা সিগারেটের দোকান করে আসছি। স্থানীয় জামাল মন্ডলের ছেলে রাতুল আমাদের দোকান থেকে জোরপূর্বক দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিন ১৩০টাকা করে চাঁদা নিয়ে আসছিলো।
এছাড়াও মাঝে মধ্যে চা, পান ও সিগারেট নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা ন দিয়ে চলে যেত। গত সোমবার রাত ৮.৩০মিনিটে আমার ও নুর আলমের কাছে রাতুল এসে ১০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এত টাকা একসাথে দিতে অপারগতা জানালে, প্রথমে গালাগালি ও দোকান করতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে পরে রাতুলসহ তার ৫জন সহযোগী এসে আমাদের দোকান ভাংচুর চালায় এবং যাবার সময় সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে যায়।
অল্প পুঁজির ছোট ব্যাবসা হওয়ায় এই ভাংচুরে আমাদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা ভয়ে আতঙ্কিত। অভাবের সংসারে আমরা এখন আরো অভাবগ্রস্ত হয়ে পরেছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই নিরুপায় হয়ে আশুলিয়া থানার একটি অভিযোগ করেছি।
ওমর ফারুক নামের অন্য আরেক দোকানি বলেন এছাড়াও নতুন কোন দোকান চালু করতে হলে সাবেক যুবলীগ নেতার ঐ ছেলে রাতুল মন্ডলকে এককালীন ২০হাজার টাকা অগ্রীম চাঁদা দিতে হয়। টাকা না দিলে দোকান বসাতে দেয় না। এছাড়া দোকান থেকে পান, চা ও সিগারেট ফ্রি খেয়ে চলে যায়। চ সিগারেটের ব্যাবসায় এমনিতেই লাভ সিমিত পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহে হিমশিম খেতে হয়। তার উপর তাদের এই চাঁদাবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ তাই এবিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাতুলের মুঠোফোনে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ তানিম হাসান বলেন, অভিযোগটি পেয়ে অভিযুক্ত রাতুল মণ্ডলের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি সে পলাতক আছে। তদন্ত করলে জানতে পারি সে রাস্তার পাশে ছোটখাটো ব্যবসয়ী ও বাদামওয়ালার কাছ থেকেও টাকা নিয়ে থাকে। আমরা তার খোঁজ করছি শীঘ্রই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।