প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৯:০৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৪, ২০২০, ৬:০৮ অপরাহ্ণ
আশুলিয়ায় বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার জন্য অনশন ও ধর্মঘট পালন করেছেন শ্রমিকরা।
সাভারঃপ্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ায় শ্রম আইন না মেনে শ্রমিকদের মজুরি কমানো ও কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ এনে মানববন্ধন, বিক্ষাভ ও প্রতীকি অনশন করেছে ডুকাঠি অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা।
বুধবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল সংলগ্ন আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতীকি অনশন করেন শ্রমিকরা।
এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিরা জানান, পূর্ব ঘোষিত মজুরী থেকে পিস প্রতি কমিয়ে পুনরায় মজুরি নির্ধারন করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বেতন প্রদান করে। এর প্রতিবাদ জানালে কারখানার লিংকিংসহ প্রডাকশন বিভাগের শ্রমিকদের বের করে দিয়ে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে দেয় কতৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে তারা এই প্রতীকি অনশন করছে।
কারখানার শ্রমিক চায়না মানববন্ধনে বলেন, ১১ বছর ধরে তিনি ওই কারখানায় কাজ করছেন। আগে কারখানাটি খুব ভালভাবে চলছিলো। কিন্তু কারখানার মালিক পরিবর্তন হওয়ার থেকে গত ৫ বছর ধরে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে শ্রমিকদের ছাটাইসহ মজুরি কমিয়ে দিচ্ছে। প্রতিবাদ জানালেই কারখানায় প্রবেশ করতে দেয় না। আমরা এর প্রতিকার চাই।
প্রতীকি অনশনরত শ্রমিক খাদিজা বলেন, প্রতি মাসেই বেতন পরিশোধে টালবাহানা করে কারখানা কতৃপক্ষ। এর ছাড়া পিস প্রতি নির্ধারন করা মজুরি থেকে কমিয়ে দিয়ে প্রতি মাসেই বেতন কমানোর পায়তারা করছে। প্রতিবাদ করলেই শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ, আমাদের শ্রমের ন্যায্য মুল্য আমরা চাই। সেই সাথে এসব সমস্যার সমাধান চাই।
এব্যাপারে ডুকাঠি অ্যাপারেলস লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার বলেন, আমাদের কারখানা এখনও চলমান, খারখানায় মজুরি কিছুটা কমানো হয়েছে। এর বিপরীতে প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উপস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য সময় নেওয়া হয়েছে। সময় অতিবাহিত হওয়ার আগেই ম্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছে। তবে আমাদের কারখানা বন্ধ এমন অভিযোগ সত্য নয়।
এব্যাপারে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক মো: ফরিদুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হয় তাহলে ৬ মার্চ কারখানা মালিকের বাড়ি ঘেরাও করবে শ্রমিকরা।
www.banglapaper24.com