পাবনায় চাঞ্চল্যকর শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক সেলিম বিশ্বাস (২৬) হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনার বিজ্ঞ বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বজ্রনাথপুর গ্রামের আজমত প্রামানিকের ছেলে জহুরুল ওরফে মুন্না(৩৫), বলরামপুর মহল্লার আব্দুল আজিজের ছেলে আযাদ হোসাইন (৩৩)।
নিহত সেলিম সদর উপজেলার বজ্রনাথপুর মহল্লার মো. আজহার আলীর ছেলে। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী (বাম পা কাটা ও বাম হাত অকেজো) ছিলেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২ জুন রাত আটটার দিকে বজ্রনাথপুরের একটি চায়ের দোকান থেকে চা পান করে বাড়ি ফেরার পথে দুইজন যুবক মিলে সেলিমকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মিলছিল না। পরে বাড়ির পাশে একটি কলাবাগানে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরিবার গিয়ে লাশ শনাক্ত করে।
ঘটনার সুত্রপাত হয় একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে। এই প্রতিবন্ধী যুবক একই গ্রামের আজমত প্রামানিকের স্কুল পড়–য়া মেয়ে শিলা খাতুনকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ কলাবাগানে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৪ জুন সেলিমের বাবা আজহার আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
দীর্ঘ শুনানির পর আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার বাবু মামলাটি পরিচালনা করেন। রায়ের সময় উভয়পক্ষের আইনজীবি উপস্থিত ছিলেন।