প্রথম বর্ষের শিক্ষাবৃত্তির টাকা পেয়েছেন চতুর্থ বর্ষে। তাও আবার এক তৃতীয়াংশ কম। এমনই অভিযোগ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।
একাডেমিক অফিসের বৃত্তি শাখা সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর মেধাতালিকায় থাকা প্রথম ছয়জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তালিকার প্রথম তিনজনকে মেধাবৃত্তি এবং পরের তিনজনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে মেধাবৃত্তির টাকার পরিমাণ মাসে ১২০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তির টাকা ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা পাঠানো হয়। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, পুরোনো হিসাব অনুযায়ী টাকা দেয়া হয়েছে তাদের।
ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রথম বর্ষের টাকা চার বছর পর পেলাম। তারপরও আবার এক-তৃতীয়াংশ কম দেয়া হলো। এই বৃত্তির টাকা পেতে ব্যাংকে আবার ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়।’
হৃদয় পাল নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘১৬৩২ টাকা পেয়েছি। তিন বছর পরে দিয়েও ৮০০ টাকা কম দিয়েছে।’
বৃত্তি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ইনামুল কবির জানান, ‘বৃত্তির টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। এই নিয়ম পরবর্তী সেশন থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ভুলবশত টাকা বাড়ানোর নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা ভুল তথ্য পেয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার প্রধান এ. টি. এম এমদাদুল আলম বলেন, ‘প্রশাসন যে টাকা দিবে সেই টাকা একাডেমিক শাখা শিক্ষার্থীদের অবশ্যই দিবে। এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।’