বিশেষ প্রতিনিধি:
আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অবস্থিত সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মন (৩৬) এর নিখোঁজ হওয়া ২৮ দিন পর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব-৪।
জানা যায়, গত ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আশুলিয়ার জামগড়া সংলগ্ন বেরন এলাকার রূপায়ন মাঠের নিজ বাসা স্বপ্ন নিবাস থেকে নিখোঁজ হন মিন্টু চন্দ্র বর্মণ।
সোমবার(০৯-০৮-৩০২১) সকাল ১১ টায় র্যাব অভিযান চালিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে পুঁতে রাখা মরদেহের ৫ অংশ উদ্ধার করে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল।
এর আগে ৯ আগস্ট ছায়া তদন্ত শুরু করে এ ঘটনায় হত্যাকারী মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় ওই শিক্ষক নিখোঁজের জিডি করেন তার পরিবার। ওই অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে র্যাব। নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মনের ছেলে।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, হত্যাকারী মূলহোতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত মিন্টুর এক সহকর্মীসহ র্যাবের হাতে আটক তিনজনও র্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি আরো জানান মিন্টু বর্মণকে হত্যা করে লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে মাথার অংশ উত্তরার আশকোনায় একটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। ২৮ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মালিকানায় আশুলিয়া নরসিংপুর এলাকায় সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়েতুলেন। বাকি তিন প্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ভাষ্যমতে, তাদের ভিতর প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ভাগবাটোয়ারার বিষয় নিয়েও অন্তর্কোন্দল ছিল। যার ধারাবাহিকতায় স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে খুন করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।মরদেহের খন্ডিত বাকি অংশ উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানায় র্যাব।