কালিয়াকৈর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিকাশের প্রায় এক কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগে এক বিকাশ ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও শনিবার পর্যন্ত ওই টাকা উদ্ধার ও বাকী আসামী গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন, যশোরের কোতয়ালী থানার নীলগঞ্জ শুপারী বাগান এলাকার সন্তোষ বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস (৩২)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ জোড়াপাম্প এলাকার বিকাশ ডিসটিউভিশন হাউজের জেনারেল ম্যানেজার।
পুলিশ ও বিকাশ ডিসটিউভিশন হাউজ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ জোড়াপাম্প এলাকার বিকাশ ডিসটিউভিশন হাউজ রয়েছে। গত চার বছর যাবৎ ওই বিকাশ ডিসটিউভিশন হাউজে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস, চন্দন কুমার বিশ্বাস হিসাব রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার ওই দুই কর্মকতার্ পল্লীবিদ্যুৎ জোড়াপাম্প এলাকার বিকাশ ডিসটিউভিশন হাউজে আসেননি। ওই সময় তাদের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতে সন্দেহ হলেও ওই বিকাশ ডিসটিউভিশন হাউজ অফিসের রেজিষ্টার, কম্পিউটারের হিসাব বিবরনী পর্যালোচনা করে কতর্ৃপক্ষ। পর্যালোচনা করে অফিসের দুটি রেজিষ্টার উধাও এবং কম্পিউটারের হিসাব বিবরনীর ফাইল কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলা দেখতে পায়। সব মিলিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ ডিসটিউভিশন থেকে ওই দুই কর্মকতার্ প্রায় ৯৮ লক্ষ ১০ হাজার ১৬৩ টাকা আত্নসাত করে। প্রায় এক কোটি টাকা আত্নসাতের পর ওই দুই কর্মকতার্ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বিকাশ ডিসটিউভিশন হাউজের নিবার্হী পরিচালক মোঃ জাহেদুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে কালিয়াকৈর থানার এসআই নজরুল ইসলাম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। অভিযান চালিয়ে গত বুধবার রাত সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার কদমতলী থানার গিরিদা আবাসিক এলাকার সিকদার ভিলা তার বন্ধু প্রবীর কুমার বিশ্বাসের বাসা থেকে আসামী সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতকে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই আসামী ৭ দিনে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও শনিবার পর্যন্ত ওই টাকা উদ্ধার করা যায়নি। বাকী আসামীকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকতার্ এসআই নজরুল ইলাম জানান, কদমতলী থানা এলাকার তার বন্ধু প্রবীর কুমার বিশ্বাসের বাড়ি থেকে আসামী সঞ্জয় কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ওই টাকা দিয়ে তিনি বাড়ি-গাড়ি করেছেন এবং বন্ধুদের দিয়েছে। এ মামলায় তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে বাকী আসামীকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।