সাভার - প্রতিনিধি:
সাভার পৌর এলাকার গেন্ডায় দখল হয়ে যাওয়া ভবনের মালিক ভূক্তভোগী মঞ্জুয়ারা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ভাটারাসহ সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কখোনো প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, কখনো তিনি ডিআইজির ছেলে। বাড়ি তার গোপালগঞ্জ এমন নানা পরিচয়ে সাভারে ৯তলা ভবন দখলের ঘটনায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা রাকিউল ইসলামসহ ৬জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- প্রতারক চক্রের মূল হোতা রাকিউল ইসলাম লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানার মৌজাসাতকি গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে। অন্যান্যরা হলো নোয়াখালীর মৃত হায়েজ উদ্দিনের ছেলে নূর উদ্দিন ওমর, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার মো. মতিনের ছেলে ইসরাফিল, দিনাজপুর জেলার পারবর্তীপুর থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবদুল্লাহ মিয়ার ছেলে রাজু ইসলাম, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্দ্ধাবা থানার জসিম উদ্দিনের ছেলে মমিন এবং রাজধানীর বনানীর আবুল কালামের ছেলে হাসান মেহেদি। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পরিচয়দনকারী ও কখনো বিজি ছেলে পরিচয় দিয়ে আসছিল। সাভার মডেল থানার পুলিশ তদন্ত নামে তদন্তে দেখা যাচ্ছে তারা যা বলেছে সবই ভুয়া।
পুলিশ জানায়, প্রকৃত মালিক মঞ্জুয়ারা বেগমকে মৃত দেখিয়ে তার ভাই দাবী করে একটি জাল দলিল সৃজনের মাধ্যমে মালিকানা দাবী করে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা মহল্লায় ১২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত ৯তলা বাড়ীটি দখলে নেয় রাকিউল ইসলাম। এসময় ভুক্তভোগী মঞ্জুয়ারা বেগম অভিযোগ করলে রাকিউল ইসলাম নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীসহ ডিআেইজির ছেলে পরিচয় দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের চাপে রাখার চেষ্টা করে। এসময় তিনি নিজেকে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবেও পরিচয় দেয়। বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। তদন্তে প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে এলে প্রতারক রাকিউল ইসলামসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গেলো রাতে রাজধানী ঢাকার ভাটারা ও সাভারের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা রাকিউলসহ ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর সহযোগীদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম জানান, প্রতারক চক্রের কাছ থেকে এসময় বিপুল পরিমান স্ট্যাম্প, সাইনবোর্ড, লোহার কাটার, লোহার রড ও লাঠিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। চক্রটি বিভিন্ন প্রতারনে করে আসছিলো। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।