সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভারের আশুলিয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির পঁচনধরা মরদেহের পরিচয় সনাক্ত নিয়ে বিপাকে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
বস্তার ভিতর অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ পড়েছিলো পরিত্যক্ত বাউন্ডারির ভিতরে। মরদেহে পঁচনধরায় প্রাথমিক সুরতহালে গিয়ে পুলিশকে পড়তে হয় বিপাকে। প্রায় দুই সপ্তাহেও অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি আশুলিয়া থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ভাষ্য, মরদেহটির মুখমন্ডল, দুই পা, শরীরসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পঁচন ধরে পোকা জন্মেছে। নখ, চুল ও দাঁত ডিএনএ টেস্টের জন্য আমরা ফরেনসিকে পাঠিয়েছি।
এর আগে গত ৭ জুন সকালে আশুলিয়ার এনায়েতপুর এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের পরিত্যক্ত বাউন্ডারির ভিতর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির বস্তাবন্দী অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। এঘটনায় ৮ জুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গত ৭ জুন বস্তার ভিতর থেকে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপরাধীরা কয়েকদিন আগে হত্যার পর লাশ ওখানে ফেলে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পড়নে জাঙ্গিয়া ছাড়া কিছুই ছিলো না শরীরের। হাত-পা, শরীর, মুখমন্ডল সব কিছু পঁচে গিয়েছিলো। আমরা মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্টও সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে নখ, চুল ও দাঁত ফরেনসিকে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি।’
মামলায় এজাহারের সুরতহালে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা পুরুষের উচ্চতা অনুমান ৫-৬ ইঞ্চি। বয়স অনুমান ৩০-৩৫ বছর। গায়ের রঙ শ্যামলা। গায়ের গড়ন মোটামুটি। মাথার পিছনে সামান্য কালো চুল আছে। কপাল, কান, মুখমন্ডলসহ সমস্ত শরীর পঁচে গেছে। চোখ দুটি অর্ধগলিত বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। মুখমন্ডল পচাঁর কারণে শুধু চোয়াল দেখা যায়। পা দুটি পঁচে গেছে। সমস্ত শরীরে পঁচনের কারণে পোকা ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধ্যমত অপরাধীদের সনাক্তে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি মরদেহের পরিচয় সনাক্তেরও চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ওই এলাকার বেশ কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আশাকরি খুব শিগগির এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে করতে পারবো।