ফজলুল হক, কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন বিভাগের জায়গায় অবাধে দেকানপাট ও ঘরবাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কাজটি করা হচ্ছে, অথচ তা প্রতিরোধে কারও কোনো উদ্যোগ নেই।
সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বনবিটের আওতায় বান্দরমার্কেট, সোনাতলীসহ বিভিন্ন গ্রামে বন বিভাগের জমিতে অনেক দিন ধরে অবৈধভাবে দোকানপার্ট ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে গত কয়েক বছরে বনের জায়গায় ঘর তোলার সংখ্যা বেড়েছে। আর এভাবে ঘর তোলার ক্ষেত্রে তাদের টাকার বিনিময়ে সহযোগিতা করছেন বন বিভাগেরই কর্মচারী। এর চেয়ে হতাশাজনক খবর আর কী হতে পারে? খোদ বন বিভাগের লোকজনই যদি এই অবৈধ কাজে সহযোগিতা করেন, তা হলে দখলদারদের কে ঠেকাবে? এ তো শর্ষেতেই ভূত। বিভিন্ন স্থানে বন বিভাগের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ ছাড়াও মৎস্য খামার গড়ে তোলা হয়েছে। আর এসব কাজ করা হয়েছে বন বিভাগের লোকজনের মদদেই।
সোনাতলী বনের জায়গায় দোকান নিমার্ণ করা বিষয়ে ওয়াজেদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ১০০০ টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং চলে যেতে বলেন।
রঘুনাথপুর বিট অফিসার নুর মোহাম্মদ জানান, যদি কেউ বনের জমি দখল করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা চাই, কালিয়াকৈর উপজেলার বন বিভাগের বেদখল হয়ে যাওয়া জমিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করবে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থানে দখল হয়ে যাওয়া বনভূমিও উদ্ধার করবে। শুধু তা-ই নয়, নতুন করে যাতে কেউ বন বিভাগের জায়গা দখল করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেবে।