আসাদুজ্জামান খাইরুল- সাভার সংবাদদাতা:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, পরিস্থিতি থমথমে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর ঘেঁষা গেরুয়া এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এতে আহত হয় অন্তত ৩০ জন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এ সংঘর্ষ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলেক্স, পিয়াস ও জুবায়ের সহ পাচ ছাত্র গুরুতর আহত হয়। আহত ছাত্রদের জা,বি মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা, জাবির প্রাচীর ঘেঁষা এই গেরুয়া নামক গ্রামে বিভিন্ন মেসে থাকতো।
(জা,বির) এ হামলার ঘটনার পর গ্রামটি ছাড়তে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। অন্য এলাকায় পরিচিতদের বাসায় রাত যাপন করেছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছে, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এ হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। গেরুয়া গ্রামের স্থানীয় মসজিদে ঘোষণা দিয়ে বলা হয় ‘গ্রামে ডাকাত পড়েছে, গ্রামের মা বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে।’ এর কিছু সময় পরই লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে গ্রামবাসী।
গ্রামবাসী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন কিছু শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়, গ্রামের দোকান থেকে বাকি খেয়ে ও কেনা কাটা করে তার দাম ঠিকমতো পরিশোধ করে না। কিছু বললে ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভিন্ন হুমকি প্রদান সহ মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমরা গ্রামবাসি তাদের প্রতিহত করেছি।
এই পরিস্খিতিতে শিক্ষার্থীরা জোরপূর্বক তালা ভেঙ্গে হলে প্রবেশ করছে বলে জানা যায়।
ইতিমধ্যে ফজিলাতুন্নেসা, নওয়াব ফয়জুন্নেসা, জাহানারা ইমাম, প্রিতিলতা,সুফিয়া হল সহ ৮টি হলের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার শিক্ষার্থীরা বাকি হলগুলো খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দলনে নামে, তারা বলেন শনিবারের মধ্যে সকল হল খুলে না দিলে কঠর আন্দলোনে নামবে।
এরিমধ্যে শনিবার সকালে ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। অপ্রতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভিসির বাসভবনে পুলিশ অবস্খান নেয়। এব্যাপারে পুলিশ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়ানি।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘হল আমরা কীভাবে খুলব? এটা তো সরকারি নির্দেশে বন্ধ হয়েছিল। সরকার থেকে এ জন্য নির্দেশ আসতে হবে। সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমরা হল খুলতে পারব না। এটা আমাদের জন্য কষ্টের।
পরিস্থিতি এখন পুরো শান্ত বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) ফজলুল হক। শনিবার সকালে তিনি বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত রয়েছে। আমরা গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ঙ্খৃলা এড়াতে এখানে সর্তক অবস্থানে আছি।’