সোলাইমান হোসাইন রুবেল, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই পৌর এলাকার মোড়ে মোড়ে দেখা যাচ্ছে আওয়ামীলীগ সহ প্রায় ডজন প্রার্থীর ব্যানার ফেস্টুন।
তবে শুধু ব্যানার ফেস্টুনেই নয়, ভোটের সমীকরণ, পৌর এলাকার উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান।
চকপাড়া'র ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের
মরহুম আব্বাস আলী খান এমপি'র সুযোগ্য সন্তান ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক -১ এবং উন্নয়নের রুপকার নেত্রকোণা পৌরসভার দুই বারের সফল মেয়র আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম খান।
গত পাঁচ বছরে মেয়র নজরুল ইসলাম খান এর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় নেত্রকোণা পৌরসভা এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এতে আসন্ন নির্বাচনেও মেয়র নজরুল ইসলাম খান'কে নিয়েই ভাবছেন এ পৌরসভার নাগরিকরা।
শুধু উন্নয়ন নয়, নিজের বিনয়ী স্বভাব এবং বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে তিনি এখন পৌরবাসীর প্রিয় নজরুল ভাই। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ নির্দ্বিধায় তার সাথে মন খুলে কথা বলতে পেরে অনেকটাই সন্তুষ্ট মেয়রের প্রতি। সকল পৌর বাসীর মনে অবস্থানকৃত ও নিরহংকার নির্লোভ সদা হাস্যোজ্জ্বল বিনয়ী এ মেয়রকে নৌকার মাঝি হিসেবেই পুনরায় নির্বাচিত করতে চান পৌরবাসী।
কিন্তু পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি কুচক্রী মহল নেত্রকোণার পৌরসভার সফল মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খানের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য কিছু কিছু পত্র পত্রিকা ও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে মিথ্যা অপপ্রচার।
লেখা হয়েছে দশ কোটি টাকার টেন্ডার দিয়ে নাকি একটি নেত্রকোণা পৌর শিশু পার্ক করা হয়েছে কিন্তু হাস্যকর বিষয় হলো কে দিলো দশ কোটি টাকা আর কবেই বা টেন্ডার হলো পৌর কর্তৃপক্ষের তা কিছুই জানা নেই কারো। তবে হ্যাঁ - পৌর অর্থায়নে পৌর পরিষদের অনুমতিক্রমে শিশুদের বিনোদনের জন্য কিছু স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে যা দৃশ্যমান। এবং তা উদ্বোধন করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মাননীয় সচিব জনাব সাজ্জাদুল হাসান।
এ বিষয়ে পৌর সার্বিয়ার রফিকুল ইসলাম হাওলাদার মিলন জানান, শিশু পার্ক করার জন্য সরকারি কোন টেন্ডার হয়নি। এই শিশু পার্কটি সম্পূর্ণ পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়েছে।
পৌর সূত্রে আরও জানা যায়, গত পাঁচ বছরে মেয়র নজরুল ইসলাম এ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ড্রেনেজ নির্মাণ, শহরে আলোকসজ্জা প্রদান, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ জনসাধারণকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করেছেন।
একাধিক উন্নয়ন করে এলাকার চিত্র পাল্টে দিয়েছেন তিনি। এক কথায় বলতে গেলে নেত্রকোণা পৌর শহরের উন্নয়নের কান্ডারী বলতে পৌর পিতা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান'কেই বুঝায়।