খোরশেদ আলম , সাভার প্রতিনিধি।
আজ বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সকাল ৭টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
আজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্থবক অর্পন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম খান নিখিল।
বুধবার সকালে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ কবির হোসেন সরকার ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মইনুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আমিন সরকার ও আশুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মণ্ডল ও শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন প্রামানিক ধামসোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাঈল হোসেন ভূঁইয়া।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল সরকার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফুজামান ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজন ভূঁইয়াসহ ইউনিয়ন যুবলীগের অন্যান্য নেতাকর্মী গন। ধামসোনা ইউনিয়ন যুবলীগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম খান ও সম্মানিত সদস্য আবুল হোসেন ভূঁইয়া ও মোঃ রাজু খান, ৭নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির মিয়াসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
এরআগে ভোরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম শামিম উজ জামান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে সশস্ত্র বাহিনী। এরপর জন সাধারনের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক। আর জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে।
সকাল ৯টার দিকে স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে দেখা গেছে, দলে দলে হাজার হাজার মানুষ লাল-সবুজ রঙের পোশাক পরে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ঢুকছেন। তবে অনেকের মুখেই মাস্ক নেই।
প্রধান ফটকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক ঝাঁক সদস্য। বেশিরভাগ মানুষই যেন ভুলে গেছে স্বাস্থ্যবিধির কথা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিসৌধে জনসমাগম বাড়ে। করোনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলেও স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ পরিবারের সন্তানরা, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঠেকাতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। সাদা পোশাকে সবার ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।