যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে আবাদ হওয়া সরিষা ফুলের দৃশ্য আর ঘ্রানে কৃষকের মাঝে সাড়া জাগিয়ে তুলছে।
তারা সরিষার বাম্পার ফলনের আসা করছেন। উপজেলার বিস্তৃত মাঠ জুড়ে বারী সরিষা চাষের উৎসবে মেতেছেন কৃষকেরা। তবে সরকারি ভাবে নেওয়া সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে, , চলতি বছর সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হলেও কৃষকের মাঠে আগাম জাতের বারী সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এখানকার কৃষকেরা বোরো আবাদের আগে একই জমিতে আগাম বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করে আসছেন।
আর সরিষার বাম্পার ফলন ঘরে তোলার সাথে সাথে কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত করতে সক্ষম হন। পাশাপাশি অধিক ফলনশীল বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের এই সরিষা চাষ করে কৃষকেরা বোরো আবাদের খরচ উঠিয়ে নেয়। এ বছর নতুন করে বারী-৭, বারী-৯,বারী-১৫, বারী-১৭ ও বারী- ১৮ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ শুরু করেছেন।
এ সব জাতের সরিষা ৭০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারেন। ফলে কৃষকেরা সরিষা চাষের পরে খুব সহজে বোরো আবাদ করতে পারেন। যে কারণে উপজেলাব্যাপী কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও তারা আগাম সরিষা চাষ শুরু করেছেন। উপজেলার চালিতা বাড়িয়া গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান , রহিম মাষ্টা, রফিকুল শেখ , আব্দুল হান্নান একাধিক কৃষকরা জানান, প্রতি বছর সরিষা চাষে অনেক মুনাফা পান তারা। ইরি বোরো মৌসুমের আগেই সরিষা তুলে সেই জমিতে ধানের আবাদ করে থাকেন।
তবে চলতি বছরে সরিষা চাষে বাম্পার ফলন হবে বলে করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, এবছর সরিষার ভালো ফলন আশা করা যায়। চলতি বছরে ১ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জিত হয়েছে। আগামী বছরে আরো বেেশি পরিমাণ সরিষা চাষে উৎসাহিতকর হবেবলে জানিয়েছেন।
আরো পড়তে ক্লিক করুন >> কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি