গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় নিখোঁজের ২৭ ঘন্টা পর রোববার বিকেলে শিশু আরিয়ানের লাশ মিলে বাড়ির পাশে একটি স্পিনিং মিলের পুকুরে। পুলিশ নিহত আরিয়নের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত হলেন, উপজেলার মৌচাক ভান্নারা পশ্চিম পাড়া এলাকার রায়হান মোল্লার ছেলে আরিয়ান মোল্লা (৭)।
পুলিশ,এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে ২০ হাজার টাকা দামের অপু ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট ছেলের হাতে দিয়ে অফিসে চলে যান রায়হান মোল্লা। সর্বশেষ গত শনিবার সেই একই নিয়মে ছেলের হাতে মোবাইল সেট দিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করে চলে যান অফিসে।
পরে গতকাল শনিবার দুপুরে পর শিশু আরিয়ান মোল্লাকে খুঁজে না পেয়ে বিকেল থেকে আশ-পাশের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন পিতা রায়হান মোল্লা। গভীর রাত পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়ার খবরটি আশ-পাশের এলাকায় মাইকিং করানো হয়।
পরে রোবরাব বিকেলে পাশ্ববর্তী হাজী ইসমাইল স্পিনিং মিলের পশ্চিম পাশে আকবর আলীসহ ৪-৫জন বর্শি দিয়ে মাছ ধরতে যান। পুকুরের পাশে যাওয়ার পর পরই শিশুর কালো চুল পানিতে ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে মৌচাক ফাঁড়ীর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করেন।
এলাকাবাসীর ধারনা, দুর্বৃত্তরা শিশু আরিয়ান মোল্লাকে সহজে বুঝিয়ে বাড়ির পাশে ওই নির্জন পুকুরের পাশে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। নিখোঁজের পর থেকে সেই দামি মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না।
নিহত আরিয়ান মোল্লার বাবা রায়হান মোল্লা জানান, আমার কোন শত্রু ছিলো না। তবে আমার ছেলেকে কেন হত্যা করলো।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ওসি মনির হোসন জানান, এ শিশু নিহতের ঘটনাটি দামি মোবাইল সেটের কারণে হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুকুরের মাছে ঠুকরিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে।
আরো পড়তে ক্লিক করুন >> দুর্গাপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল হিসেবে ষ্ট্যালিন কে দেখতে চায় এলাকাবাসী