আজ ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজয় স্তম্ভ ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান

কেশবপুর, যশোর

 

যশোরের কেশবপুর শহরের স্বাধীনতার স্মারক বিজয় স্তম্ভটি রাতারাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা এই এই স্তম্ভটি ভেঙে ফেলছে তা জানা যায়নি। বিজয় স্তম্ভ ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কেশবপুর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মরকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

 

কেশবপুর শহরের প্রবেশ মুখে ২০১০ সালে খোঁজাখালের পাড়ে একটি বিজয়স্তম্ভ তৈরি করা হয়। জাতীয় দিবসে বিশেষ করে স্বাধিনতা দিবস ও বিজয় দিবসে প্রশাসন এবং কেশবপুরের সর্বসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে আসছে। হটাৎ ওই বিজয় স্তম্ভটি ভেঙে সমান করে দিয়েছে। কে বা কারা এই স্বাধিনতার স্তম্ভটি ভেঙে ফেললো তা কেশবপুরের উপজেলা প্রশাসনও কিছুই জানে না বলে জানিছে।

 

আজ (০৩/১২/২০)বৃহস্পতিবার কেশবপুরের নাগরিক এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে বিজয় স্তম্ভ ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে স্মরকলিপি দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, কেশবপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মন্ডল, প্রথম আলোর যশোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম।

 

 

স্মারকলিপিতে পাঁচদফা দাবি পেশ করা হয়। দাবি গুলোর মধ্যে যারা এঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিজয় দিবসের আগে বিজয় স্তম্ভটি পুননির্মাণ করতে হবে। বিজয় দিবসের আগে বিজয় সুবিধাজনক জায়গায় স্তম্ভটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিকামি জনতাকে একত্রিত করে আন্দোলন করা হবে।

 

কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, কে বা কারা বিজয় স্তম্ভ ভেঙেছে তা জানা নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জনানো হয়েছে। যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap