সোলাইমান হোসাইন রুবেল, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনা পুর্বধলা উপজেলার খলিশাপুর খানপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে বাবা মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্রোনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান খান।
এর আগে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পুর্বধলা জগৎমনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও সর্বশেষ নিজ গ্রাম খলিশাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আব্দুল হান্নান খানের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা,বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা,নেত্রকোনা জেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এর আগে আবদুল হাননান খান গত ২৬ নভেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে পরো পারে চলে গেলেন তিনি। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। দাফন সম্পূর্ণ কালে এই বীর কে জেলা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে গার্ড অব অর্নার দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান,পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রমান্ত কুমারসহ আরো অনেকে।
আবদুল হাননান খান গৌরবময় অধ্যায়গুলোর অর্জনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে গেছেন-দেশমাতৃকার সেবায় নিজের কর্মদক্ষতার পরিচয়ে সমাদৃত হয়েছেন দেশ, বিদেশে। মাহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্টায় অগ্রনী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে বিভিন্ন প্রতিকুল পরিবেশেও অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি –মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্টার সংগ্রামে কর্মজীবনে সকল বাধা অতিক্রম করে লক্ষে পৌঁছেছেন।
গৌরবময় কর্মদক্ষতার সাফল্যে পুরষ্কৃত হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কর্মজীবন শুরু করেছেন -বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে, -সেখানেও অসীম সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে সবচাইতে ঘৃনীত অপরাধীদের বিচার কাজের সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে –অপরাধীদের অপরাধকে প্রমান করে বাঙালীকে ঋনমুক্ত করেছেন এ বীর। এলাকার অসংখ্য পরিবারকে চাকুরী প্রদান সহ নানান সহযোগিতা করে এলাকাবাসীর হৃদয়ে অম্লান হয়ে আছেন এবং থাকবেন।
মরহুমের মৃত্যুতে পূর্বধলাসহ সারা বাংলাদেশে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে যে শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপুরনীয় –বাংলাদেশ হারালো একজন সুদক্ষ আন্তর্জাতিক মানের একজন কীর্তিমান কর্মকর্তা, আর পুর্বধলা বাসী হারালো তাদের একজন সুযোগ্য অভিভাবককে।