সাভার প্রতিনিধঃ
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসায় প্রবেশপ্রত্র না পেয়ে সাভারের আশুলিয়ায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় অবস্থিত 'টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে'র স্কুল শাখা, কলেজ শাখায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্কুলটির নিরাপত্তাকর্মীরা জানায়, দুপুরে ৩০-৪০ জনের একদল যুবক মুখে মোখোশ ব্যবহার করে লাঠিসোঠা নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, এসএসসি পরিক্ষার্থীদেরকে সময়মতো প্রবেশপত্র না দিতে পারায় তারা ক্ষোভে ফুসে উঠে। এর জের ধরে বিক্ষোব্ধ শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দিয়ে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় তাদেরকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা আমাকেসহ কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে।
এব হামলার জন্য সাভার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাঃ কামরুন্নাহারকে দায়ি করে তিনি আরও বলেন, গত ২১ তারিখে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আসছে কেন্দ্র সচিবের কাছে। নিয়ম অনুযায়ী তিন মধ্যে সেগুলো বিতরন করা এবং ভুল থাকলে সংশোধনের কথা। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তার স্বার্থের জন্য সেগুলো আটকে রেখেছে। এদিকে পরিক্ষার সময় ঘনিয়ে আসলেও সময়মতো প্রবেশপত্র না পেয়ে ক্ষোভে ফুসে উঠে সাধারন শিক্ষার্থীরা আজ এই হামলা করেছে। শিক্ষা কর্মকর্তা যদি শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে না রাখতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতোনা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাঃ কামরুন্নাহার জানান, টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে প্রবেশপত্রগুলো তাদের কাছে দেয়া হয়নি।
আমরা নিজেদের লোক দিয়ে দুই দিন ধরে প্রবেশপত্রগুলো বিলি করার ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রবেশপত্র প্রতিষ্ঠানে না দেয়ার নির্দেশের বিষয়ে জানতে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গচুরের বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।