মোশারফ হোসেন বাবুল
অনেকেই জানেন, ভাষা বিজ্ঞান হচ্ছে সকল বিজ্ঞানের বাহন। মৌখিক স্বরূপ বাদ দিলেও সকল বিজ্ঞানেরই ‘আদী-অন্ত লিখিত আকারে থাকে এই ভাষা বিজ্ঞানে। আর তাই কোন এক মনীষী বলেছিলেন যে, সভ্যতার বিকাশ মানে হচ্ছে ভাষার বিকাশ। সাধারণভাবে বলা যায়, উচ্চ শিক্ষা, স্বল্প শিক্ষা বা অশিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজে যথাক্রমে উন্নত, সল্পোন্নত ও অনুন্নত অবস্থান বা সাংস্কৃতিক মান নির্ধারণ করে। আবার ধর্মগ্রন্থ বা ধর্ম বিজ্ঞানের সাথে ভাষা বিজ্ঞানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে ভাষা বিজ্ঞানের সৌন্দর্য্য যেমন চোখ ঝলসানো তেমনি এর প্রভাব প্রতিপত্তিও অতি ব্যাপক অভাবনীয়।
ভাষা বিজ্ঞান ধর্ম বিজ্ঞানের অধিকতর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে থাকে। ইসলাম ধর্মের জন্য যেমন আরবী ভাষা, তেমনি হিন্দু ধর্মের ভাষা হচ্ছে সংস্কৃত। আবার বাংলা ভাষা হচ্ছে এই সংস্কৃত ভাষারই একটি শাখা এবং একটা সময়ে এই সমুদ্র বিধৌত পাহাড়ী উপত্যকায় প্রায় সবাই ছিল হিন্দু, যে কারনে আমাদের বাংলা ভাষায় হিন্দু ধর্মের প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়। তবে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রভাব ব্যতীত সকল ধর্ম সকল সময় সকলের জন্যই মঙ্গলময় বা শান্তিময়। আরবী ভাষা ও সংস্কৃত ভাষার লক্ষ্য যে শান্তি, ইসলাম ধর্ম ও হিন্দু ধর্মের লক্ষ্যও সেই একই শান্তি।
আধুনিক বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির সমস্যা ও সমাধান বিষয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ গবেষণার তত্ব ও তথ্য বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তত্ব ও তথ্যের সাথে প্রায় অভিন্ন- যে সবের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে অর্থনীতিতে ‘নীতির’ প্রতিফলন নিশ্চিত করা। সাম্প্রতিক কালে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতেও এই অর্থনীতিতে ‘নীতির’ পূণঃ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন প্রাধান্য পাচ্ছে।
‘পৃথিবী’ শব্দে একটি ‘রথ’ আছে। প রথ ব এই বর্ণগুলি দিয়ে মূলত শব্দটি গঠিত। আর এই রথকে সকল ব্যক্তি জাতি বা রাষ্ট্র ব্যক্তিগত বা জাতীয়ভাবে ব্যবহার করতে পারে। যে সকল কারণে মহা বিশ্বে (মহা বিস্ময়) বা বিশ্ব ( বিস্ময়) বলে পৃথিবীকে ডাকা হয় এই রথ তার মধ্যে একটি অদৃশ্য প্রপঞ্চ (চযবহড়সবহড়হ, ওষষঁংরড়হ) । এই রথ পরিচালিত হবে বিবেক, ন্যায় ও নীতিগত দিক নির্দেশনার মাধ্যমে, আর যে কারনে আমরা পেয়েছি রাষ্ট্রনীতি, ‘রাজনীতি’ বা ‘মন্ত্রণালয়’ ইত্যাদি শব্দ গুলি।
‘ রাজনীতি’ শব্দের তাৎপর্য্য হচ্ছে রাজার নীতি বা রাজকীয় নীতি অথবা সেই নীতি যা দিয়ে রাজকাযর্য পরিচালিত হবে। সাংগঠিনক ও ঐতিহাসিক অভিজ্ঞানে যার মানে হচ্ছে অতি উৎকৃষ্টতর নীতি।
‘মন্ত্রণালয়’ (মন্ত্র+নিলয়) সংক্ষেপে এই শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে ‘ মন্ত্রের নিলয়’ অর্থাৎ এটি এমন একটি সংস্থা যার যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হবে ধর্মীয় দিক নির্দেশনার আলোকে। এখন, মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দু ধর্ম প্রভাবিত ভাষায় লিখিত এসব শব্দের মানে হচ্ছে ‘রাষ্ট্রনীতি’ বা রাজনীতি’র নীতির সাথে ‘ইসলামী নীতি’ ও আদর্শের কোন বিরোধ থাকবেনা। আর এ কারনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার ঘোষণা করেছিলেন যে, ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী কোন আইন তিনি প্রণয়ন, প্রয়োগ ও প্রচার করবেন না।
সকল ধর্মের মৌলিক অর্থনৈতিক বিবি-বিধান প্রায় অভিন্ন যা অতি বাম বা অতি ডানপন্থীদের প্রভাব থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। জাতীয় ও বিশ্ব অর্থনীতিতে যতদিন ক্ষমতা ও শক্তির অপব্যবহারের সুযোগ থাকবে অর্থাৎ, যতদিন অর্থনীতিতে ‘নীতি’ প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন ছোট ছোট যুদ্ধ থেকে বিশ্ব যুদ্ধের আশংকা থেকেই যাবে।
ধর্মীয় প্রশান্তি, আর জঙ্গিবাদী অশান্তির মাঝে শেখ হাসিনা নির্মাণ করেছেন এক সুস্পষ্ট সীমারেখা। দেশ ও বিদেশের মুসলিমদের স্বার্থ সংরক্ষণে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব উনাকে দিয়েছে 'গড়ঃযবৎ ড়ভ কধধিসর এবহবৎধঃরড়হ' ও ‘গড়ঃযবৎ ড়ভ ঐঁসধহরঃু' র উপাধি। জাতীয ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও পরিবেশবাদী আন্দোলনে উনার ভূমিকা ইসলামী ভাবধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সাম্প্রতিক শুদ্ধি অভিযানের লক্ষ্য বাংলাদেশকে স্পেন, পুতর্ূগাল, তুরস্ক, সৌদিআরব প্রভৃতি মুসলিম দেশের ন্যায় সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা। দুষ্টচক্রের ( প্রাতিষ্ঠানিক দূনর্ীতি ও দানবীর সন্ত্রাস) চাকা বা চক্রের আবর্তন ঘটে প্রধানত ‘নীতিহীন অর্থনীতি বা ইষধপশ ঊপড়হড়সু' র প্রয়োজনে। তাই সাম্প্রতিক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান প্রকারান্তরে অর্থনীতি থেকে ছদ্দবেশী নীতি বা দূর্ণীতি অপসারণ করে সেখানে ‘নীতির’ অধিষ্ঠান নিশ্চিত করণের অভিযান।ু
‘শুদ্ধি অভিযানের ’ ‘শুদ্ধি’ শব্দটি আমরা পাই ‘শুদ্ধ’ শব্দ থেকে যা ছিল ‘বিশুদ্ধ’ শব্দের ভিতর। অথার্ৎ শুদ্ধি অভিযান এর লক্ষ্য হচ্ছে সরকারী/বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে ও গনমূখী স্বরূপে পরিচালিত করা। অর্থাৎ শুদ্ধি অভিযান হচ্ছে সবকিছু শুদ্ধ করনের অভিযান। অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল একটি দেশের অন্তহীন সমস্যার সমাধান অবশ্যই একটি বৈপ্লবিক প্রক্রিয়া দাবী করো ছোট খাট অভিযানে বা প্রকল্পে এই সব দেশ সমূহের পর্বত প্রমান সমস্যার কোন সমাধান হয় না। যে কারণেএকটি শুদ্ধি অভিযানের প্রয়োজনীয়তা এ দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দই মেনে নিয়েছেন।
‘সব অর্থনীতিবিদই মনে করেন ৭এর ঘরে থাকা এউচ অর্থনীতিতে একটি বৈপ্লবিক গতির স্মারক। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এউচ ছিল ৮.১৩ অথবা ৮.১৫। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশে অর্থনীতির এই গতি জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে প্রভাব ফেলছে। শিল্প বিপ্লবের সাফল্যের জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে সচল রেখেছেন উন্নয়নের ধারা। কিন্তু রাজনীতির দুষ্টচক্রের (দূর্নীতি ও সন্ত্রাস) কারণে অর্থনীতিতে সঞ্চারিত বৈপ্লবিক গতি অন্যান্য সকল শাখায় প্রত্যাশিত আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারছে না।
তিনটি কালপর্বে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় উন্নয়নে উনার রূপকল্প তথা কর্ম পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেছেন, যেমন ২০২১ সনের মধ্যে বাংলাদেশকে উরমরঃধষ ইধহমষধফবংয এ পরিণত করা ২০৪১ সনের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ সমূহের সমপর্যায়ে উন্নীত করা এবং ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশেকে উবষঃধ চষধহ' এর আওতায় বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু উন্নয়নের প্রতি বাকে বাকে ‘দুষ্ট চক্রের (সন্ত্রাস ও দূর্ণীতি)’ সুদৃঢ় উপস্থিতির কারণে ব্যবচ্ছেদিত (উরংংবপঃরড়হ) হচ্ছে সুসমন্বিত বৈপ্লবিক পরিকল্পনা।
এমনি বাস্তবতায় শুদ্ধি অভিযানকে একটি বৈপ্লবিক প্রক্রিয়া বা বিপ্লবী পদক্ষেপ হিসেবে পরিচালিত করতে হবে। ‘বিপ্লব’ শব্দে বিপুলতা বা বিশালতার ঈঙ্গিত আছে, যেমন- বপল ব আর আছে গণশক্তির হর্ষধ্বনির উল্লাস। শিল্প-সাহিত্য ও মেধা দেশ-কাল ও দলীয় গন্ডীতে সীমাবদ্ধ থাকে না। প্রতিদিনই বুদ্ধিজীবি বা বিশেষজ্ঞদের লেখনীতে বিরাজমান সমস্যা ও সমাধানের কথা উল্লেখ থাকে- যেখানে আইন প্রয়োগে আরো বেশী নিরপেক্ষতা এবং আইনের পরিধি আরো সম্প্রসারনের তাগিত আছে। শুদ্ধি অভিযান শুধু কেসিনো ও দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত না করে দলমত নির্বিশেষে সরকারী/বেসরকারী সব ধরনের সন্ত্রাস ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে পরিচালিত করতে হবে বলে উনারা মনে করছেন। পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর মত দলীয় শৃঙ্খলা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, নয়ত ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’ উনার এই কথাটি দলীয় বিশৃঙ্খলার কারনে ‘ দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়, নিশ্চিত এ রকম হয়ে যাবে।
শুদ্ধি অভিযান এখনো প্রধানমন্ত্রীর হাতে সূচিত আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক গতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারছেনা, নয়ত কেসিনো ও চাঁদাবাজির অভিযোগে যে সব এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের ধরা হল সেখানে আবার চাঁদাবাজি চলত না, অফিসে আদালতে দূর্ণীতি এখনো ক্রমবর্ধমান বাজারে বাজারে ভোগ্যপন্য মূল্যের অট্টহাসি- এ সব দেখতে হত না। দলীয় সম্মেলনে (আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন সমূহের) নেতৃবৃন্দের ব্যস্ততার কারণে এবং বিরোধীদলীয় ইন্ধনের বিনিময়ে এসব ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারের পরিকল্পিত শিল্প-বিপ্লবের কর্মসূচী অনিবার্য্য ভাবে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে একে দিচ্ছে বিপ্লবী রঙের আল্পনা। কিন্তু ‘দুষ্টচক্রের কারণে তার গতি ও স্থায়ীত্ব হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ। বঙ্গবন্ধু একবার দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘আমার ডানে চোর, বামে চোর। সবাই পায় সোনার খনি আমি পাই চোরের খনি- সেই খনি থেকেই ৭৫ এর খুনিরা বের হয়ে এসেছিল, এবং সেই খুনিদের হাতেই গতি পেয়েছিল ‘রাজনীতির দুষ্টচক্রের যে চক্র আজও তছনছ করে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ‘নয়ন [উন নয়ন ]। তাই কাল বিলম্ব নয়, আজকে প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সর্বস্তরে ও সর্বব্যাপী শুদ্ধি অভিযানের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় তিন ধরনের বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। ডানপন্থী বা মৌলবাদীদের বিপ্লব, গণতান্ত্রিক বিপ্লব বা মধ্যপন্থীদের বিপ্লব এবং বামপন্থী বা সমাজতন্ত্রীদের বিপ্লব। সাম্প্রতিক বিশ্ব ব্যবস্থায় ডানপন্থী ও বামপন্থীদের রাজনৈতিক অবস্থান রোহিঙ্গা উদ্বাস্তদের মত অসহায়। সামস্তবাদী ও সমাজতান্ত্রিক কতর্ৃত্ববাদী শিকল ভেঙ্গে পৃথিবীর জনগন পরিশীলিত করছে গণতন্ত্রের ঐতিহাসিক জয়যাত্রাকে। স্থান কাল পাত্রভেদে এই গণতান্ত্রিক বিপ্লবী প্রক্রিয়ার অভিন্ন কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেছে। যেমন, সেখানে একটি সুস্পষ্ট অর্থনৈতিক নীতিমালাকে অবলম্বন করে সমাজের সর্বস্তরে আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রায় সকলের অংশগ্রহন ঘটে। উৎকৃষ্টতর সাংগঠনিক দক্ষতায় এই বিপ্লব লাভ করে সাফল্য । জন গনে র ‘গন আর গণ তন্ত্রের ‘গণ’ বস্তুত একই। যেকোন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচীর সাফল্যের জন্য প্রয়োজন হয় গন সমর্থন আর বিপ্লবের জন্য অপরিহার্য্য হয় গণ বিস্ফোরণ। শুধুমাত্র গণস্বার্থ কেন্দ্রীক কর্মসূচীর সহজতর ব্যাখ্যা এবং পরীক্ষিত নেতৃত্বের মেধা ও নিষ্ঠার মাধ্যমেই ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘটেছিল গণজাগরণ। এই অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার বিশ্বমানের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা আজ এক বিকল্পহীন নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক নান্দনিকতা হচ্ছে বৈপ্লবিক জোয়ার যার স্বাভাবিক প্রবণতা হল দেশ ও কালের সীমানা অতিক্রম করে যাওয়া। কিন্তু সরকারকে অবশ্যই শুদ্ধি অভিযানের সময়সীমা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে। এতে করে জনগন বিপ্লবের সাফল্য/ ব্যার্থতা মূল্যায়নের সুযোগ পাবে এবং ব্যাপক সংখ্যায় বিপ্লবী কাজে অংশ নিয়ে বিনিময় করতে পারবে ‘সফল বিপ্লবের ’ ফুল ও ফল [স ফল ]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতুলনীয় নেতৃত্বে, ৫৬ হাজার বর্গ মাইল ব্যাপী ‘বিপ্লবী ভিত্তি সমূহ’ সঠিক ভাবেই স্থাপিত হয়েছে। এখন প্রয়োজন শুধু দুষ্টচক্রের বিলুপ্তি। আজকের বাস্তবতা হচ্ছে ‘দুষ্টচক্রের’ বিলুপ্তি। আজকের বাস্তবতা হচ্ছে ‘দুষ্টচক্রের (দূণর্ীতি ও সন্ত্রাস) বিলুপ্তিতেই বৈপ্লবিক স্বার্থকতা নিহিত আছে। ইতিহাসে দেখা যায়, গণস্বার্থের রথে [গণ সব রথ ] ব্যক্তিগত সব কিছু বিসর্জন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মত মহামনীষীগণ স্বার্থকতার ‘রথ [সব রথ কত] লাভ করেছিলেন। আজকের বিজয় দিবস সেই সাফল্যের [ সাফল্য সা ফল ল ] ফুলে ফুলেই অভিসিক্ত। আবার স্বার্থকতার ‘রথ’ এবং ব্যর্থতার ‘রথ ’ [ ব রথ ] পরস্পর বিরোধী। স্বার্থক বিপ্লবের রথের ধাক্কায় ব্যর্থতার রথ উল্টিয়ে পরে থাক প্রগতির পথের পাশে- এ দেশের তরুণ সমাজের প্রত্যয় সেরকমই।