কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে ৪দফা বন্যা আর নদী ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হুমকিতে রয়েছে আরো বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল
নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় সন্তানদের লেখাপড়া আর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ। পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্যবিয়ে বৃদ্ধির শংকায় অভিভাবক মহল।
৪র্থ দফা বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত এক সপ্তাহে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও হুমকিতে রয়েছে সদরের নন্দ দুলালের ভিটা, ফুলবাড়ি উপজেলার মেখলির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ জেলার ৯টি উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একদিকে কোভিডের কারণে
লেখাপড়া বিঘ্নিত অপরদিকে বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। পাশাপাশি স্কুল বন্ধ থাকায় নারী
শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ের শংকায় রয়েছেন সচেতন মানুষেরা।এছাড়াও বিদ্যালয় স্থানান্তর নিয়ে চলছে অভ্যন্তরিণ কোন্দল।
প্রায় ৫মাস ধরে জেলার ছোট-বড় নদ-নদীর পানি ওঠানামা করায় প্রচন্ড স্রোতের কারণে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে কুড়িগ্রামের ১৭টি পয়েন্টে। তীব্র ভাঙনে
নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসতভিটাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলিন হচ্ছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে রোধ করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হওয়ায় চলতি বন্যা ও নদী ভাঙনে জেলার সাড়ে ৪ শতাধিক চরাঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের
লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ বৃদ্ধির সংশয়ে রয়েছেন অভিভাবকরা। আইয়ুব আলী,৭নং ওয়ার্ড মেম্বার,মোগলবাসা ইউপি, সদর, কুড়িগ্রাম ভেঙ্গে যাওয়া বিদ্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেবার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে এই জনপ্রতিনিধি চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না করে নিজ এলাকাতেই নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানান।
জেলা শিক্ষা অফিসার জানালেন,নদীগর্ভে বিলিন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রৌমারী
উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দ্রুতই বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এছাড়াও বিলিন হওয়া বিদ্যালয়গুলোর সীমানা এলাকা
নির্মাণ হবে বলে জানান তিনি। জেলায় ১২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ভেঙে গেছে ১০টি। দুটির বরাদ্দ এসেছে।