প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ২:৫৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০, ৬:২১ অপরাহ্ণ
সরকারি রাস্তা ঘেঁষে মাছ চাষ করায়, ৩টি ইউনিয়নের ১৬ টি গ্রামের মানুষের, চরম ভোগান্তি
কেশবপুর (যশোর) থেকে-
কেশবপুরে পুকুরে মাছ চাষ করায় একটি সরকারি কাঁচা রাস্তা ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় ৩ ইউনিয়নের ১৫/২০টি গ্রামের মানুষ চরম ভুগান্তিতে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাস্তা ভাঙ্গনের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাস্তা ঘেঁষে ৩ টি পুকুরে মাছ চাষ করার কারণে যে কোনো সময় রাস্তাটি বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারনা করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার চালিতা বাড়িয়া গ্রামের মৃত জব্বার শেখের ছেলে কামরুজ্জামান কালাম শেখ, শ্রীরামপুরে গ্রামের আব্দুল খালেক ও এজহার আলী মোড়ল মিলে দীর্ঘদিন ধরে মজিদপুর ইউনিয়ন,সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নের চালিতা বাড়িয়া ও শ্রীরামপুর গ্রামের চলাচলের একটি কাঁচা রাস্তার পাশে পুকুরে মাছ চাষ করে আসছে। চালিতা বাড়িয়া গ্রামের শাম্ভু পাল, মনিরুল ইসলাম, করিম, মশিায়র রহমান, শ্রীরামপুর গ্রামের করিমন চালক,আবুল হোসেন,অটো চালক শাহীন,আতিয়ার রহমান,মতিয়ার রহমান, রফিকুল ইসলাম,সাতবাড়িয়া গ্রামের রহিম,শফিকুল ইসলাম,ভালুকঘর গ্রামের এনামুল,খালেক,দোরমুটিয়া গ্রামের বাবু,আক্তার হোসেনসহ অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, ৩ ইউনিয়নের চালিতাবাড়িয়া, দত্তনগর, সাতবাড়িয়া,ভালুকঘর,শ্রীরামপুর বাসয়া,শিকারপুর,হিজেলতলা,পাত্রপাড়া,মুলগ্রাম,দোরমুটিয়া,এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে, কৃষকরা তাদের ধান,পাট,কাঁচা মালসহ বিভিন্ন প্রকারের মালামাল বাজারে নিয়ে যেতে হয় এই রাস্তা দিয়েই। শিক্ষার্থীদেরকেও স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসায় যাওয়ার পথও একটিই। এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্ষার সময় কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল না করতে পেরে চরম ভুগান্তিতে পড়ে মানুষ। রাস্তাটি ভাঙ্গনের কারণে একেবারে ছোট ও স্বরূ রাস্তায় পরিনত হয়েছে। ইতিপূর্ব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই পুকুরে পড়ে আহত হয়েছেন। এভাবে আর কিছুদিন থাকলে রাস্তা ভেঙ্গে একেবারে পুকুরে মধ্যে বিলিহিন হয়ে যাবে। পুকুরে মাছ চাষ বন্ধ না করা হলে চরম ভুগান্তিতে পড়বে ৩ ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ। কুকুরের মালিক আব্দুল খালেক ও এজহার আলী মোড়লের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের না পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। রাস্তা ভাঙ্গনের ব্যাপারে পুকুরের অন্য মালিক কামরুজ্জামান কালাম শেখের কাছে জানতে চাইলে, তিনি রাস্তা ভাঙ্গনের কথা শিকার করে সাংবাদিকদের বলেন,গত বছরে আমি ৪০ হাজার টাকা খরচ করে রাস্তাটি মেরামত করে ছিলাম। বর্ষা মৌসুমী পার হয়ে গেলে আবারো রাস্তাটি মেরামত করবো। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসার আব্দুল বারী বলেন,রাস্তা ভাঙ্গনের ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
www.banglapaper24.com