ভোলা থেকে-
ভোলার চরফ্যাসনের তেতুলীয়া নদীরপাড়ে নবনির্মিত নদীর তীর সংরক্ষন ব্লকের ওপর আধাঁপাকা দোকানঘর নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে। ফলে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তীর সংরক্ষণ বাঁধটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট সংলগ্ন নীলকমল ইউনিয়নের বাঁধের ওপর আধাঁপাকা দোকানঘর নির্মাণের বিপজ্জনক এই প্রতিযোগিতা দেখাগেছে। স্থানীয় নীলকমল ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতাদের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে স্থানীয়রা পাকাঘর নির্মাণ করে বাঁধ দখল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানাগেছে,নীলকমল ইউনিয়নের ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর তীর সংরক্ষন প্রকল্পে ১৩শ’ ৫০ মিটার বেড়িবাঁধকে ঘিরে চরফ্যাসন তেতুলীয়া নদীর তীর সংরক্ষন প্রকল্পের আওয়াতায় ২টি প্যাকেজে ৪৩ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব বরাদ্দের কাজ শেষ হয়েছে। নদীর পাড়ে জিওব্যাগ ও ব্লক বসিয়ে কাজ শেষ করার পরপরই স্থানীয় দুর্বৃত্তরা ব্লকের ওপর আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ করে দখল প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।
তেতুলীয়া নদীর তীর সংরক্ষণ ব্লকের ওপর আধাপাকাঘর নির্মাণকারী ঘোষেরহাট লঞ্চঘাটের শ্রমিক সর্দার ধনু মিয়া ওরফে ধনু সর্দার ও তার জামাতা আবদুল আলী নদীর তীর সংরক্ষণ ব্লকের ওপর পাকাঘর নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেছেন, বাঁধের এই অংশ তাদের জমির ওপর দিয়ে গেছে। এজন্য জমির পূর্বের দখল ঠিক রাখার জন্যই তারা পাকাঘর নির্মাণ করেছেন। ধনু সর্দার আর আবদুল আলীর মতো দখলকারীরা নানান ঠুনকো যুক্তি দেখিয়ে বাঁধের ওপর পাকাঘর নির্মাণের কথা বললেও স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে ভিন্ন কথা। স্থানীয় সূত্রগুলো অভিযোগ করছেন, স্থানীয় নীলকমল ইউনিয়নের নেতাদের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদেরকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে স্থানীয়দের ব্লকের ওপর পাকাঘর নির্মাণের প্রতিযোগিতাকে উস্কে দিচ্ছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষন প্রকল্পের আওতায় সদ্য নির্মিত নদীর তীর সংরক্ষন বøকের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করলে ইদুঁরসহ নানান প্রাণী বাসা বাঁধবে। যার ফলে ব্লকের ভেতরে ছিদ্র তৈরী হবে এবং ওই ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে অর্ধকোটি টাকার তীর সংরক্ষণ বাঁধটিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহামুদ জানান, সদ্য নির্মিত তেতুলীয়ার তীর সংরক্ষন ব্লকের ওপর পাকা বা আধাপাকা স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পকে ঝুঁকিতে ফেলবে। কেউ এমন স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে কর্তৃপক্ষের জানা ছিল না। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে এবং কেউ স্থাপনা নির্মাণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।